ডিসেম্বর ১৬, ২০১৩

বাংলা কবিতার কোটেশন -১

বাংলা কবিতার কোটেশন -১


 

১.  
    বীরের এ রক্তস্রোত , মাতার এ অশ্রুধারা
    এর যত মূল্য সে কি ধরার ধুলায় হবে হারা ।
    স্বর্গ কি হবে না কেনা ।
    বিশ্বের ভাণ্ডারী শুধিবে না
    এত ঋণ ?
    রাত্রির তপস্যা সে কি আনিবে না দিন ।    
                    
        বলাকা, ৩৭ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


২. 
    উদয়ের পথে শুনি কার বাণী ,
            ভয় নাই , ওরে ভয় নাই
    নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান  
              ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই । '
                      
          পূরবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩. 
    আমি চিরতরে দূরে চলে যাব,তবু আমারে দেবনা ভুলিতে।।
    আমি বাতাস হইয়া জড়াইব কেশে,বেণী যাবে যবে খুলিতে।।
                           
             কাজী নজরুল ইসলাম


৪. 
    এই হাত ছুঁয়েছে নীরার মুখ
    আমি কি এ হাতে কোনো পাপ করতে পারি?
                       
              সত্যবদ্ধ অভিমান  - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়


৫ .
      আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
     আমারে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন।
     চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
     মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য;
                          
             বনলতা সেন - জীবনানন্দ দাশ

৬.
    হারিয়ে গেছ অন্ধকারে-পাইনি খুঁজে আর,
    আজ্‌কে তোমার আমার মাঝে সপ্ত পারাবার!
    
    আজ্‌কে তোমার জন্মদিন-
    
    স্মরণ-বেলায় নিদ্রাহীন
  হাত্‌ড়ে ফিরি হারিয়ে-যাওয়ার অকূল অন্ধকার!
  এই -সে হেথাই হারিয়ে গেছে কুড়িয়ে-পাওয়া হার!
                
          চৈতী হাওয়া কাজী নজরুল ইসলাম

৭.
  পারাপারের ঘাটে প্রিয় রইনু বেঁধে না’,
    এই তরীতে হয়ত তোমার পড়বে রাঙা পা!
 
          আবার তোমার সুখ-ছোঁওয়ায়
 
          আকুল দোলা লাগবে নায়,
   এক তরীতে যাব মোরা আর-না-হারা গাঁ
   পারাপারের ঘাটে প্রিয় রইনু বেঁধে না।।
                           
           চৈতী হাওয়া কাজী নজরুল ইসলাম


৮. 
     দেখিনু সেদিন রেলে,
     কুলি বলে এক বাবু সাব তারে ঠেলে দিলে নীচে ফেলে!
     
চোখ ফেটে এল জল,
     এমনি করে কি জগ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল?
                            
            কুলি- মজুর - কাজী নজরুল ইসলাম 


৯. 
     তুমি শুয়ে রবে তেতালার পরে আমরা রহিব নীচে,
      অথচ তোমারে দেবতা বলিব, সে ভরসা আজ মিছে!
                           
             কুলি- মজুর - কাজী নজরুল ইসলাম 


১০. 
     বন্ধু গো, আর বলিতে পারি না, বড় বিষ-জ্বালা এই বুকে!
     দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি, তাই যাহা আসে কই মুখে
                     রক্ত ঝরাতে পারি না ত একা,
                     তাই লিখে যাই এ রক্ত -লেখা,
     বড় কথা বড় ভাব আসে না কমাথায়, বন্ধু, বড় দুখে!
     অমর কাব্য তোমরা লিখিও, বন্ধু, যাহারা আছ সুখে!
                          
                  আমার কৈফিয় - কাজী নজরুল ইসলাম 


0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন