মে ০৮, ২০১৪

সংজ্ঞাসমূহঃ রবীন্দ্র সাহিত্য ও বাংলা লিপি ( বিষয় কোড – ১০৫৩ )


সংজ্ঞাসমূহঃ  রবীন্দ্র সাহিত্য ও বাংলা লিপি ( বিষয় কোড ১০৫৩ )





নিচে দেয়া হলঃএম এ ( শেষ পর্ব) এর ১০৫৩ বিষয় কোড পরীক্ষায় যেসব সংজ্ঞা লিখতে হয় , তা                 
সংজ্ঞাসমূহঃ
১. প্রক্ষিপ্ত পাঠ পাণ্ডুলিপিতে মূল লেখক ব্যতীত অন্য কারো দ্বারা অতিরিক্ত অংশ   
                    সংযোজনকে  প্রক্ষিপ্ত বলে। আর এ রকম সংযোজিত পাঠকে      
                    প্রক্ষিপ্ত পাঠ বলে।
২. পুষ্পিকা সম্পূর্ণ পুঁথি বা খণ্ডবিশেষের শেষে সমাপ্তিসূচক অতিরিক্ত অংশকে   
                পুষ্পিকা বলে। এ অংশ লিপিকরের নিজস্ব পরিযোজনা । পুষ্পিকায়
                 থাকে   ক) লিপিকরের নাম , ঠিকানা ।
                            খ)  লিপিকাল ।
                            গ) পুঁথি রচয়িতার পরিচিতি।
                            ঘ) সামাজিক , ঐতিহাসিক কোনো বিষয় বা তত্ত্বকথা । ইত্যাদি।
৩. পাঠানুমিতি প্রাপ্ত সকল পাঠ যখন লেখকের কাঙ্ক্ষিত পাঠ উদ্ধারে বিশেষ সাহায্য  
                    করে না , তখন সম্পাদক বাধ্য হয়ে একটি অনুমানভিত্তিক পাঠ    
                    নির্ণয় করেন। এ রকম পাঠকে পাঠানুমিতি বলে।
৪. পাঠ বিকৃতি লিপি পরম্পরায় রচয়িতার মূল পাঠের যে পরিবর্তন ঘটে, তাকে পাঠ 
                   বিকৃতি বলে। পাঠ বিকৃতি ৩ প্রকার-
                                  ক) পাঠ পরিবর্তন
                                  খ) পাঠ পরিবর্জন ও
                                   গ) পাঠ সংযোজন ।
৫. সমন্বিত পাঠ একে যৌগিক পাঠও বলা হয়। একটি পাণ্ডুলিপিকে আদর্শ ধরে অন্যান্য
                     পাণ্ডুলিপির সাহায্যে সম্পাদক যে পাঠ নির্ণয় করেন, তাকে  সমন্বিত
                     পাঠ বলে।
৬. মিশ্র পাঠ বিভিন্ন লিপিকরের প্রস্তুতকৃত অনুলিপিতে পাঠের গ্রহণ, বর্জন ও    
                 পরিবর্তনের কারণে যে পাঠের সৃষ্টি হয় , তাকে মিশ্র পাঠ বলে। 
 ৭. দ্বি-লিখন -  পাণ্ডুলিপি অনুলিখনের সময় লিপিকর যখন একই শব্দ,বাক্য বা  
                   বাক্যাংশ ভুলক্রমে দুবার লিখে ফেলেন , তখন তাকে দ্বি-লিখন বা       
                   দ্বিলিপি বলে ।         
 
৮. দিব্য পাঠ কখনো কখনো সম্পাদক অভ্যন্তরীণ কিংবা বাহ্যিক কোনো প্রমাণের   
                        সাহায্য না পেয়ে নিজের বিবেকবুদ্ধির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে পাঠ নির্ণয়
                         করেন,  তখন এ ধরনের পাঠকে দিব্য পাঠ বলে।  
৯. সমচ্যুতি সাদৃশ্যবশত বর্ণ, শব্দ বা চরণের বিচ্যুতিকে সমচ্যুতি বলে।

১০. পাঠ সম্প্রসারণ আদর্শ পুঁথির প্রতিলিপি তৈরি বা অনুবাদ করার সময় লিপিকর যদি
                   অতিরিক্ত কোন চরণ , অনুচ্ছেদ বা বর্ণনা সংযোজন করেন , তবে তাকে
                   পাঠ সম্প্রসারণ বলে। পদ্মাবতী  অনুবাদে কবি আলাওল  `ষট ঋতু  
                            খণ্ডে  এ রকম পাঠ সম্প্রসারণ করেছেন।
১১. তোলা পাঠ দুই চরণের মাঝখানে বা উপরে-নিচে বা পাশে লিপিকর কর্তৃক
                    সংযোজিত পাঠকে তোলা পাঠ বলে। একে অতিযোজনাও বলা হয়।  

১২. শ্রুতিলেখক যে লিপিকর অন্যের পাঠ বা আবৃত্তি শুনে পাণ্ডুলিপি লেখে, তাকে
                     শ্রুতিলেখক বলে।

১৩. লৌকিক পাঠ যখন যথোপযুক্ত তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায় না , তখন লিপিকর বা
                        সম্পাদক সাধারণ অর্থগ্রাহ্য যে পাঠ গ্রহণ করে, সে পাঠকে লৌকিক
                        পাঠ বলে।

                       

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন