জুলাই ১৯, ২০১৫

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২


 জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২
১৯৯২  সনের  ৩৭ নং  আইন
 [২১ অক্টোবর, ১৯৯২]  

   

      জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনকল্পে প্রণীত আইন৷
 

যেহেতু কলেজ শিক্ষার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পাঠক্রম ও পাঠ্যসূচীর আধুনিকীকরণ ও উন্নতিসাধন, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও যোগ্যতা বৃদ্ধি সহ কলেজের যাবতীয় বিষয় ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ন্যস্ত্ম করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-
      সংক্ষিপ্ত শিরোনামা, প্রবর্তন ও প্রয়োগ  
১৷ (১) এই আইন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২ নামে অভিহিত হইবে৷

(২) এই আইন সমগ্র বাংলাদেশে প্রযোজ্য হইবে এবং ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে৷
          সংজ্ঞা  
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-

(ক) অধিভুক্ত কলেজঅর্থ এই আইন, সংবিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশনের বিধান অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃত এবং অধিভুক্ত স্নাতক, স্নাতক-সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী পর্যায়ের কোন কলেজ;

(খ) অংগীভূত কলেজঅর্থ এই আইন, সংবিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা এইরূপ স্বীকৃত কোন কলেজ;

(গ) অর্ডারঅর্থ University Grants Commission of Bangladesh Order, 1973 (P. O. No. 10 of 1973);

(ঘ) অধ্যক্ষঅর্থ অধিভুক্ত এবং অংগীভূত কলেজের প্রধান;

(ঙ) অর্থ কমিটিঅর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটি;

(চ) একাডেমিক কাউন্সিলঅর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল;

(ছ) কর্তৃপক্ষঅর্থ ধারা ১৯ এর অধীন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ;

(জ) কমিশনঅর্থ অর্ডার এর দ্বারা গঠিত University Grants Commission of Bangladesh;

(ঝ) কলেজঅর্থ অধিভুক্ত ও অংগীভূত ডিগ্রী কলেজ;

(ঞ) কেন্দ্রঅর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র এবং কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্র;

(ট) কলেজ শিক্ষকঅর্থ কলেজের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, প্রভাষক অথবা এমন কোন ব্যক্তি যিনি কলেজে শিক্ষাদানের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হইয়াছেন;

(ঠ) গভর্ণিং বডিঅর্থ কলেজের গভর্ণিং বডি;

(ড) চ্যান্সেলরঅর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর;

(ঢ) ডীনঅর্থ স্কুল বা কেন্দ্রের প্রধান;

(ণ) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটিঅর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি;

(ত) বিশ্ববিদ্যালয়অর্থ এই আইন দ্বারা স্থাপিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (National University);

(থ) বোর্ড অব ডাইরেক্টরস্‌অর্থ একটি স্কুল ও কেন্দ্রের বোর্ড অব ডাইরেক্টরস্‌;

(দ) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকঅর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক বা প্রভাষক অথবা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক শিক্ষক হিসাবে স্বীকৃত কোন ব্যক্তি;

(ধ) ভাইস-চ্যান্সেলরঅর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর;

(ন) সংবিধি”, “বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশনপ্রবিধানঅর্থ যথাক্রমে এই আইনের অধীনে প্রণীত সংবিধি, বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন ও প্রবিধান;

(প) সিনেটঅর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট;

(ফ) সিন্ডিকেটঅর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট;

(ব) স্কুলঅর্থ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুল;

(ভ) হোষ্টেলঅর্থ কলেজের ছাত্রাবাস৷
          আইনের প্রাধান্য  
৩৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে বিপরীত যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর হইবে৷
          এখ্‌তিয়ার  
৪৷ বিশ্ববিদ্যালয় সমগ্র বাংলাদেশে এই আইন দ্বারা বা ইহার অধীন অর্পিত সমুদয় ক্ষমতা প্রয়োগ করিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, কোন কৃষি, চিকিত্সা ও কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই আইনের কিছুই প্রযোজ্য হইবে না৷ !
          বিশ্ববিদ্যালয়  
৫৷ (১) এই আইনের বিধান অনুযায়ী গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (National University) নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হইবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় উহার বিবেচনায় উপযুক্ত বাংলাদেশের অন্য যে কোন স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্র বা ক্যাম্পাস স্থাপন করিতে পারিবে৷

(২) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম চ্যান্সেলর ও প্রথম ভাইস-চ্যান্সেলর এবং সিনেট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের প্রথম সদস্যগণ এবং ইহার পর যে সকল ব্যক্তি অনুরূপ কর্মকর্তা বা সদস্য হইবেন, তাঁহারা যতদিন অনুরূপ পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন, কিংবা অনুরূপ সদস্য থাকিবেন, ততদিন, তাঁহাদের লইয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (National University) নামে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা গঠিত হইবে৷

(৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ধারাবাহিকতা এবং একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধান সাপেক্ষে ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয়বিধ সম্পত্তি অর্জন করার, অধিকারে রাখার এবং হস্তান্তর করার ক্ষমতা থাকিবে এবং উক্ত নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বা বিপক্ষে মামলা দায়ের করা যাাইবে৷
          বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা  
৬৷ এই আইন এবং অর্ডার এর বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা থাকিবে, যথা:-

(ক) কলেজের অনুমোদন দান ও অনুমোদন বাতিল করা;

(খ) বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষাদানের জন্য পাঠক্রম নির্ধারণ করা;

(গ) বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে জ্ঞানের বিকাশ, বিস্তার ও অগ্রগতির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষেত্রে শিক্ষাদান ও গবেষণার ব্যবস্থা করা;

(ঘ) কলেজ শিক্ষকদের বুনিয়াদি, চাকুরীকালীন এবং গবেষণামূলক প্রশিক্ষণ দান;

(ঙ) পরীক্ষা গ্রহণ;

(চ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত বিধি-নিয়ম অনুসারে কোন নির্দিষ্ট কোর্স অনুসরণ ও শিক্ষাক্রম সমাপন করিয়াছে এইরূপ সকল ব্যক্তিকে ডিগ্রী, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট ইত্যাদি প্রদান;

(ছ) সংবিধি অনুযায়ী বিশেষ ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তিকে সম্মানসূচক ডিগ্রী বা অন্যান্য সম্মান প্রদান করা;

(জ) কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নহে, বিশ্ববিদ্যালয় স্থির করিলে এমন কোন ব্যক্তিকে ডিপ্লোমা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা;

(ঝ) কলেজ এবং উহাদের সহিত সংযুক্ত অফিস ও হোস্টেল পরিদর্শন করা;

(ঞ) দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের বাহিরের বিশ্ববিদ্যালয় ও একাডেমিক সংস্থাগুলির সহিত প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা;

(ট) বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক এবং অন্যান্য পদ প্রবর্তন করা এবং সংবিধির বিধান অনুসারে এই সকল পদে নিয়োগ দান করা:

তবে শর্ত থাকে যে, প্রয়োজনীয় আর্থিক সংস্থানজনিত ব্যবস্থা সম্পন্ন হওয়ার পূর্বে কোন পদ প্রবর্তন করা যাইবে না;

(ঠ) শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের কৃতিত্বপূর্ণ অবদান এবং একাডেমিক ও পাঠক্রম বহির্ভূত ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বের জন্য, সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশনের বিধান সাপেক্ষে, ফেলোশীপ, পদক ও পুরস্কার প্রবর্তন ও প্রদান করা;

(ড) শিক্ষণ, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার উন্নয়নের লক্ষ্যে সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন অনুযায়ী যাদুঘর, পরীক্ষাগার, গ্রন্থাগার, ওয়ার্কশপ, স্কুল, কেন্দ্র ও অন্যান্য সংস্থা স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ, সম্প্রসারণ, একত্রীকরণ ও বিলোপ সাধন করা;

(ঢ) শিক্ষার্থী ও শিক্ষকমন্ডলীর মধ্যে একাডেমিক শৃংখলা বিধান ও সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, একাডেমিক, শিক্ষামূলক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের বিধি অনুযায়ী সহপাঠক্রম কার্যাবলীতে উত্সাহদান এবং শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণাকর্মে সমদর্শিতা, উত্কর্ষতা ও দক্ষতাবর্ধন করা;

(ণ) বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন দ্বারা নির্ধারিত ফিস দাবী ও আদায় করা;

(ত) বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য কোন দেশী বা বিদেশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে অনুদান, উত্সর্জন বা বৃত্তি গ্রহণ করা;

(থ) শিক্ষা ও গবেষণার উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য পুস্তক ও জার্নাল প্রকাশ করা;

(দ) শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দান, পরীক্ষণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন ও বাস্তবায়নকল্পে অন্যান্য কাজকর্ম সম্পাদন করা৷
          জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত  
৭৷ যে কোন ধর্ম, বর্ণ, গোত্র এবং শ্রেণীর পুরুষ ও নারীর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত থাকিবে৷
          বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদান  
৮৷ (১) ডিগ্রী, ডিপ্লোমা এবং সার্টিফিকেট প্রদান সংক্রান্ত সকল স্বীকৃত শিক্ষাদান সাধারণতঃ কলেজ, স্কুল, এবং কেন্দ্র দ্বারা এককভাবে বা পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহিত সহযোগিতায় অথবা এতদুদ্দেশ্যে একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন প্রতিষ্ঠানের সহিত সহযোগিতায় পরিচালিত হইবে৷

(২) শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচী বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন ও প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷

(৩) বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন দ্বারা নির্ধারিত এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃত পদ্ধতিতে শিক্ষকগণ প্রদত্ত ও পরিচালিত বক্তৃতা ও অনুশীলন এবং কর্মশালা, পরীক্ষাগার ও মাঠ পর্যায়ে অনুপাঠ শিক্ষাদান কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত হইবে৷
          বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা  
৯৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তা থাকিবেন, যথা:-

(ক) চ্যান্সেলর,

(খ) ভাইস-চ্যান্সেলর,

(গ) প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর,

(ঘ) ট্রেজারার,

(ঙ) ডীন,

(চ) রেজিস্ট্রার,

(ছ) কলেজ পরিদর্শক,

(জ) গ্রন্থাগারিক,

(ঝ) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক,

(ঞ) অর্থ ও হিসাব পরিচালক,

(ট) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালক,

(ঠ) সংবিধি দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা হিসাবে ঘোষিত অন্যান্য কর্মকর্তা৷
          চ্যান্সেলর  
১০৷ (১) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের [ রাষ্ট্রপতি] বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হইবেন এবং তিনি একাডেমিক ডিগ্রী ও সম্মানসূচক ডিগ্রী প্রদানের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, চ্যান্সেলর, ইচ্ছা করিলে, কোন সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার জন্য অন্য কোন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিতে পারিবেন৷


(২) চ্যান্সেলর তাঁহার উপর এই আইন ও সংবিধি দ্বারা অর্পিত ক্ষমতার অধিকারী হইবেন৷

(৩) সম্মানসূচক ডিগ্রী প্রদানের প্রতিটি প্রস্তাবে চ্যান্সেলরের অনুমোদন থাকিতে হইবে৷

(৪) ভাইস-চ্যান্সেলরের নিকট হইতে রিপোর্ট প্রাপ্তির ভিত্তিতে চ্যান্সেলরের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কাজকর্ম গুরুতরভাবে বিঘ্নিত হওয়ার মত অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করিতেছে, তাহা হইলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কাজকর্ম চালু রাখার স্বার্থে প্রয়োজনীয় আদেশ ও নির্দেশ দিতে পারিবেন এবং অনুরূপ আদেশ ও নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য বাধ্যতামূলক হইবে এবং ভাইস-চ্যান্সেলর উক্ত আদেশ বা নির্দেশ কার্যকর করিবেন৷
          ভাইস-চ্যান্সেলর  
১১৷ (১) ভাইস-চ্যান্সেলর চার বত্সর মেয়াদে চ্যান্সেলর কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তিনি পরবর্তী আর একটি মেয়াদে নিযুক্তির জন্য যোগ্য বিবেচিত হইবেন৷

(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছু থাকুক না কেন, চ্যান্সেলরের সন্তোষানুযায়ী ভাইস-চ্যান্সেলর স্ব পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন৷

(৩) ছুটি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে ভাইস-চ্যান্সেলরের পদ শূণ্য হইলে, চ্যান্সেলর ভাইস-চ্যান্সেলরের পদের দায়িত্ব পালনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷
          ভাইস-চ্যান্সেলরের ক্ষমতা ও দায়িত্ব  
১২৷ (১) ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বক্ষণিক একাডেমিক ও প্রশাসনিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন এবং পদাধিকারবলে সিনেট, সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, অর্থ কমিটি এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান থাকিবেন৷

(২) ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন কর্তৃপক্ষ বা কোন সংস্থার যে কোন সভায় উপস্থিত থাকিতে এবং উহার কার্যাবলীতে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার সদস্য না হইলে উহাতে তাঁহার ভোট দানের অধিকার থাকিবে না৷

(৩) ভাইস-চ্যান্সেলর এই আইন, সংবিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশনের বিধান বিশ্বস্ততার সহিত পালনের নিশ্চয়তা বিধান করিবেন এবং এই উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন৷

(৪) ভাইস-চ্যান্সেলর, সিনেট, সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, অর্থ কমিটি এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির সভা আহ্বান করিবেন এবং তিনি অন্যান্য যে সমস্ত কমিটির চেয়ারম্যান হইবেন সেই সকল কমিটির সভাও আহ্বান করিবেন৷

(৫) ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল, কেন্দ্র এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং যে কোন কলেজ পরিদর্শন করিতে পারিবেন৷

(৬) ভাইস-চ্যান্সেলর সিনেট, সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷

(৭) ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের উপর সাধারণ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন৷

(৮) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার সিদ্ধান্তের সহিত ভাইস-চ্যান্সেলর ঐক্যমত পোষণ না করিলে, তিনি তাঁহার দ্বিমত পোষণের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া সিদ্ধান্তটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার নিকট পুনর্বিবেচনার জন্য ফেরত্ পাঠাইতে পারিবেন, এবং যদি উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা পুনর্বিবেচনার পর ভাইস-চ্যান্সেলরের সহিত ঐক্যমত পোষণ না করেন, তাহা হইলে তিনি বিষয়টি সিদ্ধান্তের জন্য চ্যান্সেলরের নিকট প্রেরণ করিতে পারিবেন এবং এইক্ষেত্রে চ্যান্সেলরের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে৷

(৯) বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে জরুরী পরিস্থিতির উদ্ভব হইলে এবং ভাইস-চ্যান্সেলরের বিবেচনায় তত্সম্পর্কে তাত্ক্ষণিক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজনীয় বিবেচিত হইলে তিনি সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন, এবং যে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সাধারণতঃ বিষয়টি সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইত সেই কর্তৃপক্ষকে যথাশীঘ্র সম্ভব তত্কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করিবেন৷

(১০) ভাইস-চ্যান্সেলর অস্থায়ীভাবে এবং সাধারণতঃ অনধিক ছয় মাসের জন্য অধ্যাপক ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবেন এবং এই নিয়োগের বিষয়ে সিন্ডিকেটকে অবহিত করিবেন৷

(১১) ভাইস-চ্যান্সেলর তাঁহার বিবেচনায় প্রয়োজন মনে করলে তাঁহার যে কোন ক্ষমতা ও দায়িত্ব, সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবেন৷

(১২) এই আইন, সংবিধি, বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন ও প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য ক্ষমতা ভাইস-চ্যান্সেলর প্রয়োগ করিবেন৷
          প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর  
১৩৷ (১) প্রয়োজন মনে করিলে, চ্যান্সেলর, তত্কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে ও মেয়াদে, এক বা একাধিক প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ করিতে পারিবেন৷

(২) প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন দ্বারা নির্ধারিত অথবা ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবেন৷
          ট্রেজারার  
১৪৷ (১) চ্যান্সেলর তত্কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে এবং মেয়াদের জন্য একজন ট্রেজারার নিযুক্ত করিবেন৷

(২) ট্রেজারার একজন অবৈতনিক কর্মকর্তা হইবেন, কিন্তু তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল হইতে চ্যান্সেলর কর্তৃক নির্ধারিত সম্মানী প্রাপ্য হইবেন৷

(৩) ছুটি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে ট্রেজারার এর পদ সাময়িকভাবে শূণ্য হইলে সিন্ডিকেট অবিলম্বে চ্যান্সেলরকে তত্সম্পর্কে অবহিত করিবে এবং চ্যান্সেলর ট্রেজারারের দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷

(৪) ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের সার্বিক তত্ত্বাবধান করিবেন এবং ইহার অর্থ সংক্রান্ত নীতি সম্পর্কে পরামর্শ দান করিবেন৷

(৫) ট্রেজারার, সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি ও বিনিয়োগ তদারক করিবেন এবং তিনি বাত্সরিক বাজেট এবং হিসাব বিবরণী উপস্থাপনের জন্য দায়ী থাকিবেন৷

(৬) যে খাতের জন্য অর্থ মঞ্জুর বা বরাদ্দ করা হইয়াছে সেই খাতেই যেন উহা ব্যয় হয় তাহা দেখার জন্য ট্রেজারার, সিন্ডিকেটের ক্ষমতা সাপেক্ষে, দায়ী থাকিবেন৷

(৭) ট্র্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে অর্থ সংক্রান্ত সকল চুক্তিতে স্বাক্ষর করিবেন৷

(৮) ট্রেজারার সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন৷
          রেজিস্ট্রার  
১৫৷ রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক কর্মকর্তা হইবেন এবং তিনি-

(ক) বিশ্ববিদ্যালয়ের দলিলপত্র ও সাধারণ সীলমোহর রক্ষণাবেক্ষণ করিবেন এবং সিন্ডিকেট কর্তৃক তাঁহার তত্ত্বাবধানে অর্পিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সকল সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক হইবেন;

(খ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিস সংক্রান্ত চিঠিপত্রের আদান-প্রদান করিবেন;

(গ) সিনেট, সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সচিবের দায়িত্ব পালন করিবেন;

(ঘ) ডীনদের সহিত তাঁহাদের প্লান, প্রোগ্রাম ও সিডিউল সম্পর্কে সংযোগ রক্ষা করিবেন;

(ঙ) একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেট কর্তৃক সময় সময় অর্পিত অথবা ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবেন৷
          কলেজ পরিদর্শক  
১৬৷ কলেজ পরিদর্শক কলেজ সম্পর্কিত বিষয়ের দায়িত্বে থাকিবেন এবং সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন দ্বারা নির্ধারিত কিংবা ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবেন৷
          পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক  
১৭৷ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পরীক্ষা পরিচালনার সহিত সম্পর্কিত সকল বিষয়ের দায়িত্বে থাকিবেন এবং সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন দ্বারা নির্ধারিত অথবা ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য সকল দায়িত্ব পালন করিবেন৷
          অন্যান্য কর্মকর্তার ক্ষমতা ও দায়িত্ব  
১৮৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা সংবিধি, বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন ও প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত এবং সিন্ডিকেট বা ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করিবেন৷
          বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ  
১৯৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নবর্ণিত কর্তৃপক্ষ থাকিবে, যথা:-

(ক) সিনেট;

(খ) সিন্ডিকেট;

(গ) একাডেমিক কাউন্সিল;

(ঘ) স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুল;

(ঙ) স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র;

(চ) কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্র;

(ছ) অর্থ কমিটি;

(জ) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি;

(ঝ) নির্বাচনী বোর্ড;

(ঞ) সংবিধিতে বিধৃত অন্যান্য কর্তৃপক্ষ৷
          সিনেট  
২০৷ (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে সিনেট গঠিত হইবে, যথা:-

(ক) ভাইস-চ্যান্সেলর;

(খ) সকল প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর;

(গ) ট্রেজারার;

(ঘ) সকল ডীন;

(ঙ) ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক পর্যায়ক্রমে মনোনীত পাঁচজন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক;

(চ) স্পীকার কর্তৃক মনোনীত প্রত্যেক প্রশাসনিক বিভাগ হইতে নির্বাচিত একজন করিয়া জাতীয় সংসদ সদস্য;

(ছ) চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত পাঁচজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ;

(জ) সরকার কর্তৃক মনোনীত সংবিধিবদ্ধ গবেষণা প্রতিষ্ঠান হইতে পাঁচজন প্রতিনিধি;

(ঝ) সিন্ডিকেট কর্তৃক মনোনীত প্রত্যেক প্রশাসনিক বিভাগ হইতে একজন করিয়া অধ্যক্ষ, যাঁহাদের মধ্যে মহিলা কলেজের একজন অধ্যক্ষা হইবেন;

(ঞ) একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত প্রত্যেক প্রশাসনিক বিভাগের কলেজ হইতে অন্যুন সহযোগী অধ্যাপকের পদমর্যাদা সম্পন্ন দুইজন করিয়া শিক্ষক;

(ট) একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত প্রত্যেক প্রশাসনিক বিভাগের কলেজ হইতে অন্যুন সহযোগী অধ্যাপকের পদমর্যাদা সম্পন্ন একজন করিয়া শিক্ষিকা;

(ঠ) প্রশাসনিক বিভাগসমূহের কমিশনার;

(ড) মহা-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর;

(ঢ) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডসমূহের এবং বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান;

(ণ) ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী এবং জাহাংগীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং অনুরূপ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক বিদ্যা ও সমাজ বিজ্ঞান, বিজ্ঞান, আইন ও শিক্ষা এবং বাণিজ্য ও ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের চারজন ডীন, যাঁহারা পর্যায়ক্রমে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মনোনীত হইবেন;

(ত) সরকার কর্তৃক মনোনীত বিভিন্ন পেশাগত প্রতিষ্ঠান সমূহের চারজন প্রতিনিধি;

(থ) সরকার কর্তৃক মনোনীত অন্যুন যুগ্মসচিবের পদমর্যাদা সম্পন্ন তিনজন সরকারী কর্মকর্তা৷

(২) সিনেটের মনোনীত কোন সদস্য দুই বত্সর মেয়াদে তাঁহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, তাঁহার মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তাঁহার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি তাঁহার পদে বহাল থাকিবেন:

তবে আরও শর্ত থাকে যে, জাতীয় সংসদের সদস্য, সরকারী কর্মকর্তা, অধ্যক্ষ, কলেজ শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন ও অধ্যাপক, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, গবেষণা বা পেশাগত প্রতিষ্ঠান সমূহের প্রতিনিধি যতদিন পর্যন্ত অনুরূপ সংসদ সদস্য, সরকারী কর্মকর্তা, অধ্যক্ষ, কলেজ শিক্ষক, ডীন, অধ্যাপক, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং গবেষণা বা পেশাগত প্রতিষ্ঠানে স্ব স্ব পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন ততদিন পর্যন্তই তাঁহারা সিনেটের সদস্য পদে বহাল থাকিবেন৷
          সিনেটের ক্ষমতা ও দায়িত্ব  
২১৷ এই আইন ও অর্ডার এর বিধান সাপেক্ষে, সিনেট-

(ক) সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রস্তাবিত সংবিধি অনুমোদন, সংশোধন ও বাতিল করিতে পারিবে;

(খ) সিন্ডিকেট কর্তৃক পেশকৃত বার্ষিক প্রতিবেদন, বার্ষিক হিসাব এবং বার্ষিক সম্ভাব্য ব্যয়ের প্রস্তাব বিবেচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে;

(গ) এই আইন ও সংবিধি দ্বারা অর্পিত অন্যান্য ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবে৷
          সিনেটের সভা  
২২৷ (১) বার্ষিক সভাসহ সিনেট বত্সরে অন্ততঃ দুইবার অধিবেশনে মিলিত হইবে এবং এই অধিবেশনের তারিখ ভাইস-চ্যান্সেলর নির্ধারণ করিবেন৷

(২) ভাইস-চ্যান্সেলর যখনই প্রয়োজন মনে করিবেন তখনই সিনেটের বিশেষ সভা আহবান করিতে পারিবেন৷

(৩) সিনেটের এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের স্বাক্ষরযুক্ত তলবে বিশেষ সভা আহ্বান করিতে হইবে৷
          সিন্ডিকেট  
২৩৷ (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে সিন্ডিকেট গঠিত হইবে, যথা:-

(ক) ভাইস-চ্যান্সেলর;

(খ) সকল প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর;

(গ) ট্রেজারার;

(ঘ) ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক পর্যায়ক্রমে মনোনীত ডীন;

(ঙ) নিম্নবর্ণিত দুই গ্রুপ হইতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে দুইজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যথা:-

গ্রুপ ক- ভাষা, মানবিক বিদ্যা, সমাজ বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও ব্যবসা প্রশাসন এবং শিক্ষা;

গ্রুপ খ- প্রকৃতি বিজ্ঞান, গাণিতিক বিজ্ঞান, জীব বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও প্রযুক্তি বিজ্ঞান এবং আইন;

(চ) একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত কলেজের তিনজন অধ্যক্ষ, যাঁহাদের মধ্যে অন্ততঃ একজন স্নাতক-সম্মান অথবা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষাদানকারী কলেজের অধ্যক্ষ এবং একজন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষা হইবেন;

(ছ) সরকার কর্তৃক মনোনীত অন্যুন সচিবের পদমর্যাদাসম্পন্ন দুইজন সরকারী কর্মকর্তা;

(জ) চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত দুইজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, যাঁহারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতনভোগী সদস্য নহেন;

(ঝ) সিনেট কর্তৃক মনোনীত একজন বিশিষ্ট পেশাজীবি নাগরিক৷

(২) সিন্ডিকেটের মনোনীত সদস্য তাঁহার মনোনয়নের তারিখ হইতে দুই বত্সর মেয়াদে তাঁহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, তাঁহার মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তাঁহার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি তাঁহার পদে বহাল থাকিবেন:

তবে আরও শর্ত থাকে যে, কোন ব্যক্তি যদি ডীন, অধ্যাপক, অধ্যক্ষ বা সরকারী কর্মকর্তা হিসাবে সিন্ডিকেটের সদস্য হইয়া থাকেন, তাহা হইলে তিনি যতদিন পর্যন্ত অনুরূপ ডীন, অধ্যাপক, অধ্যক্ষ বা সরকারী কর্মকর্তা থাকিবেন ততদিন পর্যন্তই তিনি সিন্ডিকেটের সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন৷
          সিন্ডিকেটের ক্ষমতা ও দায়িত্ব  
২৪৷ (১) সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী সংস্থা হইবে এবং আইন বা অর্ডার এর বিধান এবং ভাইস-চ্যান্সেলর ও কর্তৃপক্ষ এর উপর অর্পিত ক্ষমতা সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্রিয়াকলাপ এবং আর্থিক বিষয়াবলীর উপর সাধারণ ব্যবস্থাপনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপর তত্ত্বাবধানের ক্ষমতা রাখিবে৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে প্রয়োগযোগ্য ক্ষমতা ও সামগ্রিকতা ক্ষুণ্ন্ন না করিয়া সিন্ডিকেট বিশেষতঃ -

(ক) বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি অর্জন ও তহবিল সংগ্রহ করিবে, উহা অধিকারে রাখিবে এবং নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করিবে;

(খ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সীলমোহরের আকার ও প্রকৃতি নির্ধারণ এবং উহার হেফাজতের ব্যবস্থা ও ব্যবহার পদ্ধতি নিরূপণ করিবে;

(গ) কমিশন হইতে প্রাপ্ত মঞ্জুরী ও নিজস্ব উত্স হইতে প্রাপ্ত আয়ের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বিবেচনা ও অনুমোদন করিবে;

(ঘ) সাধারণ বা বিশেষ উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদত্ত সকল তহবিল পরিচালনা করিবে;

(ঙ) একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে কোন কলেজের অনুমোদন দান, স্থগিত বা বাতিল করিবে;

(চ) কলেজের নিয়মিত পরিদর্শন এবং কলেজ এবং উহাতে কর্মরত ব্যক্তিদের মূল্যায়নের ব্যবস্থা করিবে;

(ছ) একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে কলেজ শিক্ষক ও কলেজের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য প্রশিক্ষণ সংগঠনও পরিচালনা করিবে;

(জ) একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের পরীক্ষা অনুষ্ঠান এবং উহার ফল প্রকাশের ব্যবস্থা করিবে;

(ঝ) একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে নতুন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, প্রাগ্রসর শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন, আন্তঃবিভাগীয় এবং আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক নতুন শিক্ষণ, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম চালু বা বন্ধ এবং পুরাতন কার্যক্রম বাতিল করিতে পারিবে;

(ঞ) একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকের পদ সৃষ্টি, বিলোপ ও সাময়িকভাবে স্থগিত করিতে পারিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, কোন পদের জন্য আর্থিক সংস্থান হইবার পূর্বে উহা সৃষ্টি করা যাইবে না;

(ট) এই আইন ও সংবিধির বিধান সাপেক্ষে, ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর ও ট্রেজারার ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ, তাঁহাদের দায়িত্ব নির্ধারণ ও চাকুরীর শর্তাবলী স্থির এবং তাঁহাদের কোন পদ অস্থায়ীভাবে শূন্য হইলে সেই পদ পূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে;

(ঠ) সিনেট এর অনুমোদন সাপেক্ষে, সংবিধি প্রণয়ন, সংশোধন ও বাতিল করিতে পারিবে;

(ড) বিশ্ববিদ্যালয় অথবা কলেজের কোন শিক্ষক অথবা স্কলারকে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে তাঁহার বিশেষ অবদানের জন্য মেধা ও মনীষার স্বীকৃতি এবং কোন কলেজকে উহার সার্বিক যোগ্যতার স্বীকৃতি হিসাবে পুরস্কৃত করিতে পারিবে;

(ঢ) সংবিধি দ্বারা প্রদত্ত অন্য যে কোন দায়িত্ব পালন ও ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে৷
          একাডেমিক কাউন্সিল  
২৫৷ (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে একাডেমিক কাউন্সিল গঠিত হইবে, যথা:-

(ক) ভাইস-চ্যান্সেলর;

(খ) প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর;

(গ) সকল ডীন;

(ঘ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অধ্যাপক;

(ঙ) মহা-পরিচালক,মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর;

(চ) চেয়ারম্যান, আন্তঃমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কমিটি;

(ছ) সিন্ডিকেট কর্তৃক মনোনীত কলেজের ভাষা, মানবিক বিদ্যা, সমাজ বিজ্ঞান, প্রকৃতি বিজ্ঞান, গাণিতিক বিজ্ঞান, জীব বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও ব্যবসা প্রশাসন, শিক্ষা, আইন এবং কম্পিউটার ও প্রযুুক্তি বিজ্ঞান বিষয় হইতে একজন করিয়া মোট দশ জন কলেজ অধ্যাপক;

(জ) সিন্ডিকেট কর্তৃক মনোনীত স্নাতক-সম্মান অথবা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পাঠদানকারী কলেজের পাঁচজন অধ্যক্ষ;

(ঝ) ' এবং ' এর আওতায় প্রতিনিধিত্ব ক েনা এমন পাঁচটি কলেজ হইতে সিনেট কর্তৃক মনোনীত পাঁচজন অধ্যক্ষ:

তবে শর্ত থাকে যে, ‘', ‘' ' এর অধী েএইরূপভাবে মনোনয়ন দান করিতে হইবে যাহাতে দেশের প্রত্যেকটি প্রশাসনিক বিভাগ হইতে যতদূর সম্ভব, সমসংখ্যক শিক্ষক একাডেমিক কাউন্সিলে প্রতিনিধিত্ব লাভ করেন;

(ঞ) চ্যান্সেলর কর্তৃক দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় হইতে মনোনীত ছয়জন শিক্ষক, যাঁহারা অন্যুন সহযোগী অধ্যাপকের পদমর্যাদা সম্পন্ন হইবেন;

(ট) সংবিধিবদ্ধ গবেষণা প্রতিষ্ঠান হইতে চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত পাঁচজন বিশিষ্ট গবেষক;

(ঠ) বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক;

(ড) কলেজ পরিদর্শক;

(ঢ) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক;

(ণ) রেজিস্ট্রার৷

(২) একাডেমিক কাউন্সিলের মনোনীত কোন সদস্য তাঁহার মনোনয়নের তারিখ হইতে দুই বত্সর মেয়াদে তাহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তাঁহার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি তাঁহার পদে বহাল থাকিবেন:

আরও শর্ত থাকে যে, কোন সদস্য যে পদ বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান হইতে মনোনীত হইয়াছিলেন সেই পদ বা প্রতিষ্ঠানে তিনি যদি না থাকেন তাহা হইলে তিনি একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন না৷
          একাডেমিক কাউন্সিলের ক্ষমতা ও দায়িত্ব  
২৬৷ (১) একাডেমিক কাউন্সিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান একাডেমিক সংস্থা হইবে এবং এই আইন, সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশনের বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ, একাডেমিক বর্ষসূচী ও তত্সম্পর্কিত পরিকল্পনা প্রণয়ন, শিক্ষণ, প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষার মান নির্ধারণ ও সংরক্ষণের জন্য দায়ী থাকিবে এবং এই সকল বিষয়ের উপর ইহার নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান ক্ষমতা থাকিবে, এবং ইহা শিক্ষা সংক্রান্ত সকল বিষয়ে সিন্ডিকেটকে পরামর্শ দান করিবে৷

(২) ভাইস-চ্যান্সেলর ও সিন্ডিকেটের উপর অর্পিত ক্ষমতা সাপেক্ষে একাডেমিক কাউন্সিলের নিম্নরূপ ক্ষমতা থাকিবে, যথা:-

(ক) কলেজ, স্কুল ও কেন্দ্রের জন্য পাঠক্রম ও পাঠ্যসূচী নির্ধারণ;

(খ) কলেজ, স্কুল ও কেন্দ্রের শিক্ষা, গবেষণা ও পরীক্ষার মান নির্ণয় এবং ছাত্র ভর্তি, ডিগ্রী ও পরীক্ষার শর্তাবলী নির্ধারণ, পরীক্ষা অনুষ্ঠান, পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, ছাত্রদের মধ্যে শৃংখলা ও তত্সম্পর্কে শিক্ষকদের দায়িত্ব এবং শিক্ষণ, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সহিত সম্পৃক্ত সকল বিষয়ে প্রবিধান প্রণয়ন;

(গ) অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চ শিক্ষা বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান এর ডিগ্রীর স্বীকৃতি ও সমমান নির্ধারণ;

(ঘ) কোন কোর্স হইতে কোন ছাত্র বা পরীক্ষার্থীকে অব্যাহতি দান বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ;

(ঙ) সংশ্লিষ্ট কমিটিসমূহের সুপারিশক্রমে কোর্স ও সিলেবাস নির্ধারণ, প্রত্যেক কোর্সের জন্য পরীক্ষক প্যানেল অনুমোদন, গবেষণা ডিগ্রীর জন্য গবেষণা প্রস্তাব অনুমোদন এবং এইরূপ প্রত্যেক বিষয়ের পরীক্ষার জন্য পরীক্ষক নিয়োগ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ;

(চ) শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণী বিষয়ে সিন্ডিকেটের নিকট প্রস্তাব পেশ এবং প্রশিক্ষণ ও ফেলোশীপ প্রদানের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ;

(ছ) কলেজ, স্কুল, কেন্দ্র বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সমূহের গুণগত উত্কর্ষতা বৃদ্ধি ও তাহা সংহত করার লক্ষ্যে বিধি বিধান প্রণয়ন এবং দেশ বিদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান এর সহিত যোগসূত্র বা যুগ্ম কার্যক্রম গ্রহণ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ;

(জ) বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার ব্যবহার ও উন্নয়নের জন্য বিধি প্রণয়ন;

(ঝ) সর্বপ্রকার শিক্ষক ও গবেষক এর পদ সৃষ্টি বা সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ প্রস্তাব বিবেচনা এবং সিন্ডিকেটের নিকট এতদ্‌সম্পর্কে সুপারিশকরণ;

(ঞ) সিন্ডিকেটের অনুমোদনের জন্য সকল একাডেমিক ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন প্রণয়ন;

(ট) সকল প্রকার ছাত্রবৃত্তি, পদক ও পুরস্কার প্রদান বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ৷

(৩) একাডেমিক কাউন্সিল সংবিধি দ্বারা এবং সিন্ডিকেট কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য সকল দায়িত্ব পালন ও ক্ষমতা প্রয়োগ করিবে৷
          বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ইউনিট  
২৭৷ (১) বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে নিম্নবর্ণিত ইউনিট থাকিবে, যথা:-

(ক) স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুল;

(খ) স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র;

(গ) কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্র৷

(২) স্কুল ও কেন্দ্র এর প্রধান ডীন নামে অভিহিত হইবেন৷

(৩) ডীন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকবৃন্দের মধ্য হইতে একাডেমিক কৃতিত্ব ও শিক্ষা প্রশাসনে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ভাইস-চ্যান্সেলরের সুপারিশক্রমে সিন্ডিকেট কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন৷ তিনি পুনর্নিয়োগের জন্য বিবেচিত হইতে পারিবেন তবে একই সাথে অন্য কোন প্রশাসনিক পদ গ্রহণ বা দায়িত্ব পালন করিতে পারিবেন না৷
          স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুল  
২৮৷ (১) স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুল একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেটের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কলেজের স্নাতকপূর্ব শিক্ষা সংগঠিত করিবে, পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচী নির্ধারণ করিবে, একাডেমিক কাউন্সিলের বিবেচনার জন্য পরীক্ষা বিধি সুপারিশ করিবে, প্রশিক্ষণের মান সংরক্ষণ করিবে এবং শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করিবে৷

(২) এই স্কুলের নিজস্ব পরিচালনা বিধি, একাডেমিক ও ব্যবস্থাপনা কর্মসূচী থাকিবে, তবে নীতি নির্ধারণী ক্ষেত্রে ইহা স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র এবং কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের সহিত যোগাযোগ এবং সমন্বয় রক্ষা করিবে৷
          স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র  
২৯৷ (১) স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং গবেষণা কেন্দ্র, ভাষা, মানবিক বিদ্যা, সামাজিক বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও ব্যবসা প্রশাসন, প্রকৃতি বিজ্ঞান, গাণিতিক বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, শিক্ষা, আইন এবং কম্পিউটার ও প্রযুক্তি বিজ্ঞান লইয়া গঠিত হইবে এবং ইহা-

(ক) সম্মান ও স্নাতকোত্তর শিক্ষা সংগঠনের দায়িত্ব পালন করিবে;

(খ) ষ্টাফ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, কলেজ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাগ্রসর শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবে৷

(২) একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তাবলীর সহিত সংগতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের নিজস্ব পরিচালনাবিধি, একাডেমিক প্রোগ্রাম ও ব্যবস্থাপনা কর্মসূচী থাকিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, নীতি নির্ধারণী ক্ষেত্রে ইহা স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুল এবং কারিকুলাম, উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের সহিত যোগাযোগ ও সমন্বয় রক্ষা করিবে৷
          কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্র  
৩০৷ (১) কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের নিম্নবর্ণিত দায়িত্ব থাকিবে; যথা:-

(ক) জাতীয় ভাবধারার সহিত সংগতি রাখিয়া কলেজ শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে শিক্ষা কোর্স ও কারিকুলাম মূল্যায়ন;

(খ) বিভিন্ন পাঠক্রম ও পাঠ্যসূচীতে জ্ঞান বিজ্ঞানের সর্বশেষ অগ্রগতির যথাযথ প্রতিফলন;

(গ) পরিবর্তনশীল সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা ও প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্য ও প্রকৃতি নির্ধারণ;

(ঘ) উপযুক্ত মূল্যায়নের মাধ্যমে আধুনিক ও যথোপযোগী শিক্ষা উপকরণ উদ্ভাবন ও ব্যবহারের উত্সাহ দান;

(ঙ) শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রয়োজন নির্ণয়পূর্বক তাহা ব্যক্তিগত, সামাজিক ও জাতীয় পর্যায়ে উন্নয়ন লক্ষ্যের সহিত সমন্বিতকরণ;

(চ) কলেজসমূহের একাডেমিক কার্যক্রমের মূল্যায়ন৷

(২) একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেটের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই কেন্দ্রের নিজস্ব পরিচালনা বিধি ও ব্যবস্থাপনা কর্মসূচী থাকিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, নীতি নির্ধারণী ক্ষেত্রে ইহা স্নাতকোত্তর শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র এবং স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের সহিত যোগাযোগ ও সমন্বয় রক্ষা করিবে৷
          অর্থ কমিটি  
৩১৷ (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অর্থ কমিটি থাকিবে এবং উহা নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:-

(ক) ভাইস-চ্যান্সেলর, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন;

(খ) ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক পর্যায়ক্রমে মনোনীত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর;

(গ) ট্রেজারার;

(ঘ) সিন্ডিকেট কর্তৃক বার্ষিক আবর্তনক্রমে মনোনীত একজন ডীন;

(ঙ) সিন্ডিকেট কর্তৃক বার্ষিক আবর্তনক্রমে মনোনীত একজন অধ্যাপক;

(চ) সরকার কর্তৃক মনোনীত অন্যুন যুগ্ম-সচিবের পদমর্যাদা সম্পন্ন একজন সরকারী কর্মকর্তা;

(ছ) একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত কলেজের একজন অধ্যক্ষ;

(২) অর্থ ও হিসাব পরিচালক অর্থ কমিটির সচিবের দায়িত্ব পালন করিবেন;

(৩) অর্থ কমিটির মনোনীত কোন সদস্য দুই বত্সর মেয়াদে তাঁহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, তাঁহার মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তাঁহার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি তাঁহার পদে বহাল থাকিবেন৷

(৪) অর্থ কমিটি-

(ক) বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় ও ব্যয়ের তত্ত্বাবধান করিবে;

(খ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ, তহবিল, সম্পদ ও হিসাব নিকাশ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে সিন্ডিকেটকে পরামর্শ দান করিবে;

(গ) সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত বা ভাইস-চ্যান্সেলর ও সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবে৷
          পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি  
৩২৷ (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি থাকিবে এবং উহা নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:-

(ক) ভাইস-চ্যান্সেলর, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন;

(খ) সকল প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর;

(গ) ট্রেজারার;

(ঘ) সকল ডীন;

(ঙ) মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর;

(চ) একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত দুইজন অধ্যক্ষ, যাঁহাদের মধ্যে অন্ততঃ একজন স্নাতক-সম্মান অথবা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষাদানকারী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ হইবেন;

(ছ) সরকার কর্তৃক মনোনীত দুইজন বিশেষজ্ঞ, যাঁহাদের মধ্যে একজন স্থপতি বা প্রকৌশলীদের মধ্য হইতে এবং অন্যজন শিক্ষা, পরিকল্পনা অথবা ব্যবসা, শিল্প বা লোক প্রশাসন পেশা হইতে মনোনীত হইবেন;

(জ) রেজিস্ট্রার;

(ঝ) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালক, যিনি উহার সচিবও হইবেন৷

(২) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির মনোনীত কোন সদস্য দুই বত্সর মেয়াদে তাঁহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, তাঁহার মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তাঁহার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি তাঁহার পদে বহাল থাকিবেন৷

(৩) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রস্তুত করিবে এবং অনুমোদনের জন্য সিন্ডিকেটের নিকট পেশ করিবে৷
          নির্বাচনী বোর্ড  
৩৩৷ (১) শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োগ সুপারিশ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনী বোর্ড থাকিবে৷

(২) নির্বাচনী বোর্ডের গঠন এবং অন্যান্য প্রাসংগিক বিষয় সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷

(৩) নির্বাচনী বোর্ডের সুপারিশের সহিত সিন্ডিকেট একমত না হইলে বিষয়টি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য চ্যান্সেলর সমীপে পেশ করা হইবে৷
          মঞ্জুরী, ইত্যাদি  
৩৪৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার অথবা কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতি বত্সর প্রয়োজনীয় অর্থ মঞ্জুরী প্রদান করিবে৷

(২) সরকার বা কমিশনের মঞ্জুরী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব উত্স হইতে প্রাপ্ত সম্পদ সীমার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় উহার বার্ষিক বাজেট প্রস্তুত করিবে৷

(৩) ব্যয় বিধি ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত পরামর্শ বিশ্ববিদ্যালয় মানিয়া চলিবে৷

(৪) বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনকে উহার চাহিদা মোতাবেক তথ্য, প্রতিবেদন ও পরিসংখ্যান সরবরাহ করিবে৷
          বার্ষিক প্রতিবেদন  
৩৫৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন সিন্ডিকেটের নির্দেশ ও তত্ত্বাবধানে প্রণীত হইবে এবং পরবর্তী শিক্ষা বর্ষের ৩১শে জানুয়ারী তারিখে বা তত্পূর্বে উহা কমিশনের নিকট পেশ করিতে হইবে৷
          বার্ষিক হিসাব  
৩৬৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক হিসাব ও ব্যালান্স শীট সিন্ডিকেটের নির্দেশ অনুসারে প্রস্তুত করিয়া কমিশনের নিকট পেশ করিতে হইবে৷
          কলেজের অধিভুক্তি ও অধিভুক্তি বাতিল  
৩৭৷ (১) এই আইন, সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশনে বিধৃত শর্তাবলী পূরণ না করিলে কোন কলেজ অধিভুক্তি লাভ করিবে না৷

(২) অধিভুক্তি ও অধিভুক্তি বাতিল সংক্রান্ত সকল বিষয়ে সিন্ডিকেট একাডেমিক কাউন্সিলের পরামর্শ গ্রহণ করিবে৷
          পরিদর্শন ও প্রতিবেদন  
৩৮৷ (১) বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষভাবে দায়িত্ব প্রদত্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ দ্বারা প্রত্যেকটি কলেজ সময় সময় পরিদর্শন করাইবে৷

(২) এইরূপ পরিদর্শিত কোন কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে প্রয়োজনীয় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দান করিতে পারিবে৷

(৩) সিন্ডিকেট একাডেমিক কাউন্সিল, স্কুল এবং কেন্দ্রের চাহিদা অনুযায়ী প্রত্যেক কলেজ যে কোন প্রতিবেদন, বিবরণ ও তথ্য সরবরাহ করিবে৷
          কলেজে শিক্ষাদান এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের মধ্যে সহযোগিতা, ইত্যাদি  
৩৯৷ (১) একাডেমিক কাউন্সিলের পরামর্শক্রমে সিন্ডিকেট কোন কলেজকে যে সকল বিষয়ে ও যে পর্যায়ের শিক্ষাদানের ক্ষমতা দান করিবে, কলেজ সেই সকল বিষয়ে এবং সেই পর্যায়ে শিক্ষাদান করিবে এবং উক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে কলেজ কোন পর্যায়ে কোন কোর্সে শিক্ষাদান করিতে পারিবে না৷

(২) একাডেমিক কাউন্সিল এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সুপারিশ বিবেচনা করিয়া এবং সংশ্লিষ্ট কলেজ বা কলেজসমূহের সহিত পরামর্শক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় সহযোগিতার ভিত্তিতে আন্তঃকলেজ বা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করিতে পারিবে৷

(৩) কলেজ ছাত্রদের উপকারার্থে স্কুল এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র নির্বাচিত বিষয়ে লেকচার বা কোর্স দানের ব্যবস্থা করিতে পারিবে৷

(৪) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক কর্তৃক প্রদত্ত এবং কোন কলেজের জন্য আয়োজিত লেকচার, ভাইস-চ্যান্সেলরের পূর্বানুমতিক্রমে, অন্যান্য কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত থাকিবে৷
          কলেজ সম্পর্কিত সাধারণ বিধান  
৪০৷ (১) প্রত্যেক কলেজ সর্বসাধারণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হইবে৷

(২) প্রত্যেক কলেজ একটি গভর্ণিং বডি দ্বারা পরিচালিত হইবে এবং উক্ত গভর্ণিং বডির গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলী সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷

(৩) প্রত্যেক কলেজের অধ্যক্ষ উহার অভ্যন্তরীণ প্রশাসন ও শৃংখলার জন্য দায়ী থাকিবেন৷

(৪) প্রত্যেক কলেজ সিন্ডিকেটকে এই মর্মে সন্তুষ্ট করিবে যে, কলেজটিকে অব্যাহতভাবে এবং দক্ষতার সহিত পরিচালনার জন্য উহার যথেষ্ট আর্থিক সংগতি রহিয়াছে৷

(৫) কোন কলেজ কর্তৃক ধার্যকৃত ছাত্র বেতন ও অন্যান্য ফীস এতদ্‌সম্পর্কিত বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন দ্বারা নির্ধারিত সর্বনিম্ন হারের কম বা সর্বোচ্চ হারের অধিক হইবে না৷

(৬) প্রত্যেক কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সংবিধি, রেগুলেশন ও প্রবিধান মানিয়া চলিবে৷

(৭) প্রত্যেক কলেজে ভর্তি এতদুদ্দেশ্যে প্রণীত বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন ও প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে হইবে৷

(৮) প্রত্যেক কলেজ সাধারণতঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের টার্ম, অবকাশ ও ছুটির সহিত সামঞ্জস্য বিধান করিয়া চলিবে৷

(৯) প্রত্যেক কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন দ্বারা নির্ধারিত রেজিস্ট্রার ও রেকর্ডপত্র সংরক্ষণ করিবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সময় সময় নির্দেশিত তথ্যাবলী সরবরাহ করিবে৷

(১০) প্রত্যেক কলেজ প্রতি বত্সর ৩১শে ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে পূর্ববর্তী শিক্ষা বত্সরের কাজকর্মের একটি প্রতিবেদন কলেজ পরিদর্শকের নিকট পেশ করিবে যাহাতে শিক্ষকসংখ্যা ও ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন হইয়া থাকিলে উহার বিবরণ ও প্রেক্ষিত, ছাত্রসংখ্যা, আয় ব্যয়ের হিসাব এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ও প্রাসঙ্গিক তথ্যাবলী সন্নিবেশিত থাকিবে৷
          বিশ্ববিদ্যালয় পাঠক্রমে ভর্তি  
৪১৷ (১) এই আইন ও সংবিধির বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজসমূহে স্নাতকপূর্ব, স্নাতকোত্তর ও অন্যান্য পাঠক্রমে ছাত্র ভর্তি একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত ভর্তি কমিটি কর্তৃক প্রণীত বিধি দ্বারা পরিচালিত হইবে৷

(২) কোন ছাত্র বাংলাদেশের কোন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড অথবা বাংলাদেশে আপাততঃ বলবত্ কোন আইন দ্বারা সংগঠিত কোন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কিংবা সংবিধি দ্বারা সমমানের বলিয়া স্বীকৃত অন্য কোন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হইয়া থাকিলে এবং বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য যোগ্যতা তাহার না থাকিলে সে বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের ডিগ্রী কোর্সের কোন পাঠক্রমে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হইবে না৷

(৩) যে সকল শর্তাধীনে কলেজের ডিগ্রী, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট ও স্নাতকোত্তর পাঠক্রমে ছাত্র ভর্তি করা হইবে তাহা সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷

(৪) ডিগ্রীর উদ্দেশ্যে কোন পাঠক্রমে ভর্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উহার রেগুলেশন দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত ডিগ্রীকে স্বীয় কোন ডিগ্রীর সমমানের বলিয়া স্বীকৃতি দান করিতে পারিবে অথবা স্বীকৃত কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষার সমমানের বলিয়া স্বীকৃতি দান করিতে পারিবে৷
          পরীক্ষা  
৪২৷ (১) ভাইস-চ্যান্সেলরের সাধারণ নিয়ন্ত্রণাধীনে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পরীক্ষা পরিচালনার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷

(২) একাডেমিক কাউন্সিল পরীক্ষা কমিটিসমূহ নিয়োগ করিবে এবং উহাদের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলী বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷

(৩) কোন পরীক্ষার ব্যাপারে কোন পরীক্ষক কোন কারণে দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে ভাইস-চ্যান্সেলর তাঁহার শূন্যপদে অন্য পরীক্ষককে নিয়োগ দান করিবেন৷
          চাকুরীর শর্তাবলী  
৪৩৷ (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সকল সময়ে সততা ও কর্তব্যপরায়ণতার সহিত কর্ম পালন করিবেন এবং পদ সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনে কঠোরভাবে ন্যায়পরায়ণ ও নিরপেক্ষ হইবেন৷

(২) নিয়োগের শর্তাবলীতে স্পষ্টভাবে অন্যরূপ উল্লেখ না থাকিলে, প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বক্ষণিক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরূপে গণ্য হইবেন৷

(৩) বিশ্ববিদ্যালয় অথবা উহার অংগ সংগঠনগুলির স্বার্থের পরিপন্থী কোন কার্যকলাপের সহিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী নিজেকে জড়িত করিবেন না৷

(৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকুরী বিধি তাঁহাদের নাগরিক ও অন্যান্য অধিকার অক্ষুণ্ন রাখিয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ করিয়া সংবিধি দ্বারা প্রণীত হইবে; তবে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত কারণ ও পদ্ধতিতে চাকুরী হইতে অপসারিত বা পদচ্যুত করা যাইবে অথবা তাহাদিগকে অন্য প্রকার শাস্তি প্রদান করা যাইবে৷
          সংবিধি  
৪৪৷ এই আইন ও অর্ডার এর বিধান সাপেক্ষে, সংবিধির দ্বারা নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন বিষয় সম্পর্কে বিধান করা যাইবে, যথা:-

(ক) সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, অর্থ কমিটি, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি, স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুল, স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র, কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও দায়িত্ব;

(খ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের পদবী, দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং চাকুরীর শর্তাবলী;

(গ) ফেলোশীপ, বৃত্তি ও পুরস্কার প্রবর্তন;

(ঘ) হোষ্টেল ও ছাত্রাবাস স্থাপন ও সংরক্ষণ;

(ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক, ফেলো, কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মচারী নিয়োগ পদ্ধতি;

(চ) সম্মানসূচক ডিগ্রী প্রদান;

(ছ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কল্যাণার্থে অবসর ভাতা, ভবিষ্য তহবিল, ইত্যাদি গঠন;

(জ) এই আইনের অধীনে সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে বা হইতে পারে এইরূপ সমুদয় বিষয়৷
          সংবিধি প্রণয়ন  
৪৫৷ (১) এই ধারায় বর্ণিত পদ্ধতিতে সিন্ডিকেট সংবিধি প্রণয়ন, সংশোধন বা বাতিল করিতে পারিবে৷

(২) তফসিলে বর্ণিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংবিধি চ্যান্সেলরের অনুমোদন ব্যতীত সংশোধন বা বাতিল করা যাইবে না৷

(৩) সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রস্তাবিত সকল সংবিধি অনুমোদনের জন্য সিনেট সমীপে পেশ করিতে হইবে এবং সংবিধির প্রস্তাব প্রেরণের ছয় মাসের মধ্যে উহার অনুমোদন পাওয়া না গেলে অথবা এই সময়ের মধ্যে উহা ফেরত পাঠান না হইলে উহা সিনেট কর্তৃক অনুমোদিত বলিয়া গণ্য হইবে৷

(৪) সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রস্তাবিত সংবিধি সিনেট কর্তৃক অনুমোদিত বা অনুমোদিত বলিয়া গণ্য না হওয়া পর্যন্ত উহার কোন কার্যকারিতা থাকিবে না৷

(৫) এই আইনে ভিন্নরূপ কোন বিধান না থাকিলে, সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্তৃপক্ষের মর্যাদা, ক্ষমতা ও গঠন প্রভাবিত করে এইরূপ কোন সংবিধি প্রণয়নের প্রস্তাব, উক্ত প্রস্তাবের উপর উক্ত কর্তৃপক্ষকে মন্তব্য প্রকাশের সুযোগ না দেওয়া পর্যন্ত, েপশ করিতে পারিবে না এবং এইরূপ কোন মতামত লিখিতভাবে হইতে হইবে এবং সিন্ডিকেট কর্তৃক উহা বিবেচিত হওয়ার পর প্রস্তাবিত সংবিধির খসড়াসহ সিনেটে পেশ করিতে হইবে৷
          বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন  
৪৬৷ এই আইন ও সংবিধির বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন দ্বারা নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন বিষয় সম্পর্কে বিধান করা যাইবে, যথা:-

(ক) কলেজে ছাত্র ভর্তি এবং তাহাদের তালিকাভুক্তি;

(খ) কলেজের ডিগ্রী, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্সের পাঠক্রম ও পাঠ্যসূচী;

(গ) শিক্ষাদান কার্যক্রম সংগঠন, লেকচার ও টিউটরিয়াল ক্লাস অনুষ্ঠান এবং পরীক্ষাগার ও ওয়ার্কশপ পরিচালনার নিয়মাবলী;

(ঘ) ছাত্রদের বসবাসের শর্তাবলী এবং তাহাদের আচরণ ও শৃংখলা;

(ঙ) কলেজের ডিগ্রী সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং ডিগ্রী সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা পাওয়ার যোগ্যতার শর্তাবলী;

(চ) বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের বিভিন্ন কোর্সে অধ্যয়ন, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং ডিগ্রী লাভের জন্য দেয় ফিস;

(ছ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিট সমূহের গঠন ও উহাদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব;

(জ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক বোর্ড ও কমিটির গঠন, ক্ষমতা ও দায়িত্ব;

(ঝ) বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের পরীক্ষা পরিচালনা;

(ঞ) কলেজ শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ ও রিেফ্রশার কোর্স ইত্যাদি সংগঠন এবং স্টাফ ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়াদি; এবং

(ট) এই আইন বা সংবিধির অধীনে বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন দ্বারা নির্ধারিত হইবে বা হইতে পারে এইরূপ অন্যান্য বিষয়৷
          বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন প্রণয়ন  
৪৭৷ একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন প্রণয়ন করিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশনের কোন খসড়ার সহিত সিন্ডিকেট একমত হইতে না পারিলে সিন্ডিকেট উহাতে উহার পরিবর্তন বা সংশোধনসহ সংশ্লিষ্ট খসড়া প্রস্তাবটি পুনর্বিবেচনার জন্য একাডেমিক কাউন্সিলের নিকট পুনরায় পেশ করিতে পারিবে এবং এক্ষেত্রেও একাডেমিক কাউন্সিল সিন্ডিকেটের প্রস্তাবের সহিত একমত না হইলে উহা সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের যুক্ত সভায় পেশ করিতে হইবে এবং যুক্ত সভার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলিয়া গণ্য হইবে৷
          প্রবিধান  
৪৮৷ (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য সংস্থাসমূহ নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে এই আইন, সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশনের সহিত সংগতিপূর্ণ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথা:-

(ক) তাহাদের সভার কার্যবিধি প্রণয়ন এবং কোরাম গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সদস্য সংখ্যা;

(খ) এই আইন, সংবিধি বা বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন মোতাবেক প্রবিধান দ্বারা নির্ধারণযোগ্য সকল বিষয় সম্পর্কে বিধান;

(গ) কেবলমাত্র উক্ত কর্তৃপক্ষসমূহের সহিত সংশ্লিষ্ট অথচ এই আইন, সংবিধি বা বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশনে বিধৃত নয় এইরূপ সমুদয় বিষয়৷

(২) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা উহার সভার তারিখ এবং আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে উক্ত কর্তৃপক্ষের বা সংস্থার সদস্যগণকে নোটিশ প্রদান এবং সভার কার্যবিবরণী রেকর্ড করার জন্য প্রবিধান প্রণয়ন করিবে৷

(৩) সিন্ডিকেট এই ধারার অধীনে প্রণীত কোন প্রবিধান তত্কর্তৃক নির্ধারিত প্রকারে সংশোধন করার বা বাতিল করার নির্দেশ দিতে পারিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা অনুরূপ নির্দেশে সন্তুষ্ট না হইলে চ্যান্সেলরের নিকট আপীল করিতে পারিবে এবং এই ব্যাপারে চ্যান্সেলরের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে৷
          বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনষেধ  
৪৯৷ কোন ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা কোন কলেজের কোন পদে অধিষ্ঠিত থাকার অথবা বিশ্ববিদ্যালয় বা কোন কলেজের কোন কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার সদস্য হওয়ার বা থাকিবার যোগ্য হইবেন না যদি তিনি-

(ক) অপ্রকৃতিস্থ, বধির বা মূক বা অন্য কোনভাবে তাঁহার দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন;

(খ) দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন;

(গ) নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হন৷
          সাময়িকভাবে শূন্য পদ পূরণ  
৫০৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোন সংস্থার পদাধিকারবলে সদস্য নন এইরূপ কোন সদস্যের পদে সাময়িকভাবে শূন্যতার সৃষ্টি হইলে যে ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ উক্ত সদস্যকে নিযুক্ত বা মনোনীত করিয়াছিলেন সেই ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ যথাশীঘ্র সম্ভব উক্ত শূন্য পদ পূরণ করিবেন এবং যে ব্যক্তি এইরূপ শূন্য পদে নিযুক্ত বা মনোনীত হইবেন তিনি যাঁহার স্থলাভিষিক্ত হইয়াছেন, তাঁহার অসমাপ্ত কার্যকালের জন্য উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার সদস্য পদে বহাল থাকিবেন৷
          কার্যধারার বৈধতা ইত্যাদি  
৫১৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার কোন কার্য বা কার্যধারা কেবলমাত্র ইহার কোন পদের শূন্যতা বা উক্ত পদে নিযুক্তি বা মনোনয়ন সংক্রান্ত ব্যর্থতা বা ত্রুটির কারণে উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার গঠনের ব্যাপারে অন্য কোন প্রকার ত্রুটির জন্য অবৈধ হইবে না কিংবা তত্সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
          বিতর্কিত বিষয়ে চ্যান্সেলরের সিদ্ধান্ত  
৫২৷ এই আইন বা সংবিধিতে বিশেষভাবে বিধৃত হয় নাই এইরূপ কোন চুক্তি বা বিষয় সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় এবং উহার কোন শিক্ষক বা কর্মকর্তার মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে, বিরোধটি উক্ত শিক্ষক বা কর্মকর্তার লিখিত অনুরোধক্রমে, ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক চ্যান্সেলর সমীপে সিদ্ধান্তের জন্য পেশ করা হইবে এবং এই বিষয়ে চ্যান্সেলর এর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে৷
          অবসরভাতা ও ভবিষ্য তহবিল ইত্যাদি  
৫৩৷ সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি এবং শর্তাবলী সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয় উহার শিক্ষক, কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মচারীর কল্যাণার্থে যেইরূপ সমীচীন মনে করিবে সেইরূপ অবসরভাতা, গোষ্ঠীবীমা, কল্যাণ তহবিল গঠন বা আনুতোষিক প্রদানের ব্যবস্থা করিতে পারিবে৷
          অসুবিধা দূরীকরণ  
৫৪৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যাবলী সম্পাদনের ক্ষেত্রে অথবা উহার কোন কর্তৃপক্ষের প্রথম বৈঠকের ব্যাপারে বা এই আইনের বিধানাবলী প্রথম কার্যকর করার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা দেখা দিলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্তৃপক্ষ গঠিত হইবার পূর্বে যে কোন সময় উক্ত অসুবিধা দূরীকরণ সমীচীন বা প্রয়োজনীয় বলিয়া চ্যান্সেলর এর নিকট প্রতীয়মান হইলে তিনি, আদেশ দ্বারা, এই আইন ও সংবিধির সহিত যতদূর সম্ভব সংগতি রক্ষা করিয়া যে কোন পদে নিয়োগ দান বা অন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং এই প্রকার প্রত্যেকটি আদেশ এইরূপ কার্যকর হইবে যেন উক্ত নিয়োগদান ও ব্যবস্থা গ্রহণ এই আইনের বিধান অনুসারে করা হইয়াছে৷
          ক্রান্তিকালীন বিধান  
৫৫৷ এই আইন বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহাই থাকুক না কেন, যতদিন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সকল ডিগ্রী কলেজের নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব গ্রহণ না করে ততদিন পর্যন্ত ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এখ্‌তিয়ারাধীন কলেজের উপর উহাদের স্ব স্ব এখ্‌তিয়ার বহাল থাকিবে৷

              ১ রাষ্ট্রপতি" শব্দটি "সরকার প্রধান" শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০০৯(২০০৯ সনের ৪৮ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন